Breaking News
Loading...

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে সকল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র বহন নিষিদ্ধ


ওয়াশিংটন: মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে
যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানের যাত্রীরা কেবিনে তাদের সঙ্গে এখন আর
ল্যাপটপ, ট্যাব, ক্যামেরা বা এরকম বড় ইলেকট্রনিক যন্ত্র বহন করতে
পারবেন না। এ ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি
করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা জানান,
যুক্তরাষ্ট্রে চলাচলকারী কিছু এয়ারলাইন্সকে এটা প্রভাবিত করবে। মার্কিন
প্রশাসনের অন্য আরেকজন কর্মকর্তা বলছেন, সেলফোনের
চেয়ে বড় যেকোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নতুন এই ব্যবস্থার
মধ্যে পড়বে।
সংশ্লিষ্ট একজন বিমান কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু
দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ননস্টপ ফ্লাইটের যাত্রীদের
বোর্ডিংয়ে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের ননস্টপ ফ্লাইটের জন্য কিছু দেশের যাত্রীদের
‘স্ক্রীনিং’ সম্পর্কিত।
তারা আরো জানান, তারা বিশ্বাস করেন একজন যাত্রীকে যদি বাড়তি এবং
আরো বিশ্বস্ত স্ক্রীনিং পদ্ধতি অবলম্বনসহ সেকেন্ডারি সিটিতে
স্থানান্তরিত করা গেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিকে অকার্যকর করা
যাবে। খুব শিগগিরই ডিরেক্টিভ থেকে নির্বাচিত কয়েকটি বিমানবন্দরে
উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের একটি লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়,
‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা সতর্কতা নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই, কিন্তু
‘যথাযথ ব্যবস্থা’ হিসাবে আমাদেরকে যেকোনো আপডেট ব্যবস্থা
নিতে হবে।’
পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাসঙ্গিক দেশ এবং
এয়ারলাইন্স সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে অবস্থিত মার্কিন
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
আরেকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, আরব উপদ্বীপের কয়েকটি
দেশে বিদ্যমান আল-কায়েদা জঙ্গিদের কারণে কিছু ইলেকট্রনিক্সের
ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন
যাবৎ কিছু হুমকি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কর্তৃক ট্র্যাকিং করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, ইয়েমেনে সাম্প্রতিক মার্কিন বিশেষ বাহিনীর একটি
অভিযানে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে; যা চলমান উদ্বেগে ভূমিকা
রাখছে।
কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্যিক বিমানগুলোকে লক্ষ্য করে আল কায়েদা
সক্রিয়ভাবে বোমা তৈরির চেষ্টা করছে যেটিতে সামান্য পরিমান কিংবা
কোন ধরনের ধাতু নাও থাকতে পারে। আর গ্রুপটির প্রধান বোমা নির্মাতা
ইব্রাহিম আল-আসিরি এজন্য অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাই বলা যা্য়,
এখনো পর্যন্ত তারাই একমাত্র সন্ত্রাসী সংগঠন যেটি এয়ারলাইন্সে
আক্রমণ করার প্রচেষ্টা দেখিয়েছে।
তৃতীয় একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের
মাধ্যমে বিমানবন্দরে আক্রমণ করা হতে পারে- গত কয়েক মাসে
প্রাপ্ত এমন তথ্যের কারণে উদ্বেগ রয়েছে।
কয়েকটি বিমান সংস্থা নতুন এই ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ জানায়, মার্কিন
সরকারের কাছ থেকে তারা একটি নির্দেশনা পেয়েছেন এবং তা
পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
আরব আমিরাতের অন্যতম বড় পরিবহন সংস্থা ‘আমিরাত এয়ারওয়েজ’ এর
একজন কর্মকর্তা জানান, তারা এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাননি
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত নতুন যেকোন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
নেয়া হলে তা মেনে চলা হতে পারে বলে তিনি জানান।
তুর্কি এয়ারলাইন্সও নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স টুইটারে এক বিবৃতিতে তার গ্রাহকদের জানান,
মার্কিন পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন থেকে নতুন একটি ব্যবস্থা নেয়া
হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে হ্যান্ড লাগেজসহ ল্যাপটপ
এবং ট্যাবলেট, আইপড এবং দিয়াসলাই বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার
থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে হবে এতে জানানো হয়।

সূত্র: সিএনএন

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment